দেশের বাজারে সবশেষ স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিলো চলতি বছরের ২১ এপ্রিল। স্বর্ণের দাম বাড়ার রেকর্ডের পর পরেই দাম আবার কমতে শুরু করে ধাপে ধাপে। শেষ কমলো মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ৪২০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের একভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস। যা টানা সপ্তমবারের মতো কমলো।
এর আগে দেশের বাজারে গত ৪ মাসে ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। গত ১৪ দিনে সমন্বয় করা হয়েছে ১০ বার, আর এরই মধ্যে টানা ৭ দফায় কমানো হয়েছে ৮ হাজার ৩৮৭ টাকা।
বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২১ এপ্রিল যখন দাম বাড়লো সে সময় বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হলমার্ক করা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। একইভাবে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি বেড়ে হয়েছে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণে ৬৩০ টাকা, ২১ ক্যারেটে ৬০৭, ১৮ ক্যারেট ৫১৩ এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণে বাড়ছে ৪২০ টাকা।
এরপরই দফায় দফায় কমতে থাকে স্বর্ণের দাম। ফলে ১৭ দিন পরে দেশের স্বর্ণের বাজার পৌঁছায় চার মাস আগের দামে। ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। যা বর্তমান বাজারে স্বর্ণের দামের সমান এবং ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।