করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অহেতুক নোংরা রাজনীতি না করে সরকারকে সহযোগিতা করতে বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অহেতুক নোংরা রাজনীতি করবেন না। মানবিক ও সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতিতে আপনাদের উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
বুধবার ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভায় এ কথা বলেন।
মুজিববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী কর্মসূচির পুনর্বিন্যাস ও সমসাময়িক ইস্যুতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় সংসদ সদস্য ও দুই সিটি মেয়রদের সাথে এক যৌথসভা আহ্বান করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ই আগস্ট ও ২১শে আগস্টের মতো ঘটনার কারণে রাজনীতিতে কর্মসম্পর্ক বিএনপিই নষ্ট করেছে। তারপরও করোনা ভাইরাস ইস্যুতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই বিএনপিকে বলবো এই সময়ে রাজনৈতিক বিষেদাগার থেকে বিরত থাকুন।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বই করোনাভাইরাস নিয়ে একটা উদ্বেগ ও আতঙ্কে আছে। বাংলাদেশে যারা বলছেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল না। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশ সবার আগে নিয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব জায়গাতেই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতির ব্যাপারে সরকারের কোন ঘাটতি আমাদের ছিল না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতালি থেকে যে দুইজন প্রবাসী বাংলাদেশি এসেছে, তারা কিন্তু প্রস্তুতি আছে বলেই তাদের সংক্রমণের ব্যাপারটা ধরা পড়েছে এবং তাদের ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের দুজন থেকে আরেকজন সংক্রামণ হয়েছে, সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন কেউ সংক্রামণ হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নামক সংগঠনটির আসলে তাদের কারণেই আজকে আন্দোলন নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আইনী লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে বেগম জিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা রাজনীতি করে বেড়াচ্ছে। রাজনীতির ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। করোনাভাইরাস নিয়েও তারা তাদের সেই নিকৃষ্ট রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মানবিক স্বার্থের বিষয়টি এটা সারা বিশ্বের একটা জনস্বার্থ সম্পর্কিত একটা সমস্যা। অনেক দেশ আক্রান্ত হয়েছে। নতুন নতুন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা প্রস্তুত আছি বলেই আমরা ভাগ্যবান এখনো আমাদের দেশে এই রোগের বিস্তার হয়নি। এখানে সংক্রমণ সে পর্যায়ে আসেনি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যারা সরকারের সদিচ্ছা-আন্তরিকতার ঘাটতি খুঁজে, যারা সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আজকে এ ধরনের অপপ্রচার করে; আমি মনে করি তারা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশে এটা করছে। আমরা এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে আবারও তাদেরকে অনুরোধ করছি।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলীসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাসস