তবে এ জন্য তার দেশের জনগণকে জনসমাগম এড়িয়ে চলার বর্তমান ধারা আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।
তেহরানে শনিবার তিনি এক ভাষণে ওই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রুহানি বলেন, ইরানে জনসমাগম এড়িয়ে চলার অংশ হিসেবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
দেশটিতে বর্তমানে ফার্সি নববর্ষের ছুটি চলছে। এ সময়ে লাখ লাখ ইরানি দেশের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ভ্রমণ করলেও এ বছর সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ নিজ ঘরে অবস্থান করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।
তিনি যতটা সম্ভব জীবনযাত্রার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য আবারও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় সদরদফতরে দেয়া বক্তৃতায় হাসান রুহানি আরও বলেন, ইরানের অর্থনীতির চাকা থামিয়ে দেয়ার জন্য বিপ্লববিরোধী শক্তিগুলো চক্রান্ত শুরু করেছে।
কিন্তু অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী আলীরেজা রায়িসি জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২০ হাজার ৬১০ জনে পৌঁছেছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ইরানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ৫৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৯৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৬৩৫ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে খবর দিয়েছেন ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, কয়েক সপ্তাহর মধ্যে ইরানে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।