Monday , December 23 2024
Breaking News

মসজিদে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ও নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ প্রদানের আদেশ স্থগিত

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত।

রোববার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দিয়ে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। তিতাস গ্যাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এবং রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তৈমুর আলম খন্দকার যুগান্তরকে বলেন, আবেদনটি আগামী ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগ পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত থাকবে। ১ ডিসেম্বরের আগেই যেন শুনানি করা হয়, এজন্য আমরা একটি আবেদন করব।

গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দেয়ার আদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন।

৭ দিনের মধ্যে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে এ টাকা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে দিতে বলা হয়। জেলা প্রশাসককে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এ টাকা বিতরণ করতে বলা হয়। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


গত ৭ সেপ্টেম্বর নিহত ও দগ্ধ প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার।

রিটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রুলে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউক, ডিপিডিসি, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও এসপি, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এক বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। তাদের মধ্যে ৩৭ জন মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ১২ শতাংশ দগ্ধ মামুন নামে এক রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

SHARE

About bnews24

Check Also

উদ্যোক্তা গ্রুপের সহায়তায় যশোর শীতবস্ত্র বিতরণ

উদ্যোক্তা গ্রুপের অর্থায়নে যশোর বসুন্দিয়ায় ১০০০ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরনের সময়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *