রাজধানীর ফকিরাপুলে ‘ইয়াং ম্যান্স ক্লাবের’ ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় ক্যাসিনো থেকে নারী-পুরুষসহ ১৪২ জন আটক করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ২০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে চালানো এই জুয়ার আসরের মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দলের নেতাদের বলেছেন, তার কাছে খবর আছে রাজধানীতে অনেকগুলো ক্যাসিনো চলছে। এছাড়া যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। এসব বন্ধে দল ও অঙ্গ সংগঠনে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবেই এই অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযান শুরু করে র্যাব-৩ এর একটি দল। এতে নেতৃত্বে দিচ্ছেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ও র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান।
সারওয়ার আলম বলেন, বিকেল ৫টা থেকে ইয়াং ম্যান্স ক্লাব নামের এই ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত সেখান থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। তবে অবৈধভাবে চালানো ওই ক্যাসিনোতে এখনও অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, ওই ক্লাবের মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে তার বাসা ঘিরে রেখেছে র্যাব।
মতিঝিল থানার ওসি(তদন্ত) মনির হোসেন বলেন, ‘ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনোগুলো আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। তারপরও র্যাব অভিযান পরিচালনা করছে।’