বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২০ আপডেট টাইম ২০২০ ৮. ২০ মিনিট
রাজশাহীর বাগমারায় শান্ত ইসলাম (২০) নামের এক তরুণকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে। পরে মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে আট টার দিকে ঝিকড়া ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত শান্ত ঝিকড়া ইউনিয়নের কুদাপাড়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে। শান্ত এবার এসএসসি পাশ করেছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।
এই ঘটনায় শান্তর পিতা আফজাল হোসেন বাদি হয়ে মন্টু সহ ১১ জনকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত আসামী মন্টুকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। দ্রুত তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে আট টার দিকে যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভটখালী গ্রামের মুন্টু হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাশের ঝিকড়া ইউনিয়নের কুদাপাড়া বিলে ছমির হোসেনের পুকুরের পাড় কাটার জন্য আসেন। পুকুরের পাড় কেটে নিজেদের এলাকার বন্যার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে তারা এমন পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়। পুকুরের চারপাশে পাহারা বসিয়ে পাড় কাটতে থাকলে পুকুরের মালিক ছমির হোসেনের ভাতিজা শান্ত ইসলাম বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা শান্তকে কুপিয়ে জখম করে পানিতে ফেলে দিয়ে পুকুরের পাড় কেটে চলে যায়।
পরবর্তীতে পুকুরের পাড় কাটার ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন পাড় মেরামত করার জন্য আসলে শান্তকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। শান্ত বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তিনি এখনো অচেতন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।