যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। এর মধ্য দিয়ে আগেভাগে ভোট দিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। এ জন্য বাস্কেটবল তারকা লিব্রোন জেমসের একটি সংগঠনের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন মিশেল। এর অধীনে যারা আগাম ভোট দিতে যাবেন তাদেরকে খাবার, নিরাপত্তা গিয়ার, বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ এবং ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত পরিবহনের সুবিধা দেবেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, এই দুটি গ্রুপ বিবৃতিতে বলেছে, মিশেল ওবামার ‘হোয়েন উই অল ভোট’ এবং জেমসের ‘মোর দ্যান এ ভোট’ একসঙ্গে কাজ করছে। এই উদ্যোগে ভোটকেন্দ্রের কাছে পেশাদার ডিজে এবং সেলিব্রেটিদের উপস্থিতিতে যেসব অতিথি উপস্থিত হবেন, সেখানে তাদেরকে খাদ্য পরিবেশন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনের ভোট আগেভাগে দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাইড বিষয়ক প্রতিষ্ঠান লিফট ইনকরপোরেশন আগাম ভোটকেন্দ্রগুলো পর্যন্ত রাইড বা পরিবহন ভাড়া কমিয়ে দেবে। এ ছাড়া লয়ার্স কমিটি ফর সিভিল রাইটস আন্ডার ল এবং ইলেকশন প্রটেকশন কোয়ালিশন আইনজীবীর সুবিধা দেবে। এসব আইনজীবী ভোটারদেরকে তাদের ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ দেবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট দেয়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, নির্বাচনের দিনের ভিড় এড়ানোর চেষ্টা করছেন মার্কিনিরা। করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে এমন মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ তাদের আগাম ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএস ইলেকশন্স প্রজেক্ট। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনের দিনের আর মাত্র ২১ দিন বাকি। এরই মধ্যে লাখ লাখ মার্কিনি তাদের ভোট দিয়েছেন। আগেভাগে আপনার ভোট দেয়ার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা কেউই পিছিয়ে থাকতে পারি না।
বিবৃতিতে বলা হয়, তার গ্রুপ স্থানীয় অংশীদার সংগঠনগুলোকে এই প্রচেষ্টায় ১০ লাখ ডলার দেবে। তারা যেসব ইভেন্ট আয়োজন করবেন তার বেশির ভাগই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমন রাজ্যগুলোতে। এর মধ্যে রয়েছে আটলান্টা, জর্জিয়া, চার্লোটি, নর্থ ক্যারোলাইনা, ডেট্রয়েট, মিশিগান, মিলওয়াকি, উইসকনসিন, অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডা, ফিলাডেলফিয়া, পেনসিলভ্যানিয়া। এর মধ্যে জর্জিয়াতে এ সপ্তাহ থেকে আগাম ভোট দেয়া শুরু হয়েছে। সেখানে ভোট দিতে বহু মানুষকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।