মাহাবুব তালুকদার
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নৌকা ও জগ মার্কার বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে ভেদরগঞ্জে থানা সংলগ্ন ব্রিজ ও পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ কর্মী ও সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে মকবুল হাওালদার ও উজ্জল উকিলকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন- শফিকুল ইসলাম (১৯), সাগর (১৯), দেলোয়ার হোসেন ওরফে লাদেন (২০), মোরসালিন হাওলাদার (২০) ও শরীফ কবিরাজি (২৬)।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাজী আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল বাশার চোকদারের কর্মী ও সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের দুই কর্মী ও সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে ভেদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল বাশার চোকদার বলেন, নৌকার সমর্থকরা আমাদের কোথাও নির্বাচনী প্রচার করতে দিচ্ছে না। আমাদের লোকজন যেখানেই প্রচারে যাচ্ছে সেখানেই হামলার শিকার হচ্ছে। তারা একাধিকবার আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেছে। রোববার রাতেও তারা আমাদের কর্মীদের ওপর ককটেল হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা দায়ের করেছি। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বাড়ী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের এবং কোর্টে চালান করা হয়।
এ বিষয় নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমি যাই এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে ৫ জনকে আটক করেছি। তবে ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা টিম রয়েছে।