বর্তমানে চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ফার্মাসি কাউন্সিল অব বাংলদেশের আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ‘পলিসি ডায়ালগ অন গুড ফার্মাসি প্র্যাকটিস ইন হসপিটাল ফার্মাসি সেটিংস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাপী ওষুধ নিয়ে গবেষণা, উৎপাদন, বিপণন এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, ঐকান্তিক শ্রম এবং মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে ওষুধ শিল্পের বিকাশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন এবং বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের দক্ষ ফার্মাসিস্টবৃন্দ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতির ভিত আরো মজবুত হবে।
সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মূল দর্শন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া। সারা দেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে, যার প্রত্যেকটি থেকে ৬ হাজার জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের সাফল্য বাংলাদেশকে গর্বিত করে।
এ সময় তিনি দেশের হাসপাতালগুলোতে দক্ষ ফার্মাসিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে ওষুধ নিয়ে বিভ্রান্তি ও ওষুধের ভুল প্রয়োগের হার কমিয়ে আনা সম্ভব।
ফার্মাসি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, চিটাগাং মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো. ইসমাইল খান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. শহিদুল্লাহ শিকদার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোসাদ্দেক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।