Monday , December 23 2024
Breaking News

কভিড দেশে বড় কোনো ক্ষতি করতে পারেনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঝুঁকিতে থাকা মানুষ ও ব্যবসা সুরক্ষায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে কভিড-১৯ মহামারী বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি। নিউইয়র্ক ভিত্তিক সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত নিবন্ধে তিনি এ কথা লিখেছেন।

সেখানে শেখ হাসিনা লিখেছেন, বাংলাদেশ কভিড-১৯ এর শিকার হতে পারত কিন্তু আমরা সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগণ ও ব্যবসা সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। মহামারী অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে মারাত্মক হয়নি। আমরা দ্রুত উত্তরণ করছি।

এক দশক আগে যে অর্থনৈতিক পুনরুত্থান ঘটেছিল তা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। কভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, সাধারণ মানুষের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে জীবন ও জীবিকার সমন্বয় সাধন। ব্যবসাগুলোকে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান।

গত বছর করোনার শুরুতে সরকার হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বয়োজ্যেষ্ঠ, অভিবাসী ও নিঃস্ব অসহায় নারীদের ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে ৪ কোটি (বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ) মানুষকে অর্থসহ নানা সহায়তা দেওয়া হয়। মোট ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আমাদের জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে ২৮টি আলাদা প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে। এছাড়া কয়েকশো কোটি মার্কিন ডলারের ভ্যাকসিন ও অন্যান্য জরুরি পদক্ষেপে ব্যয় করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ জনগন সমর্থন করবে।

নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের নীতি হচ্ছে, কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না। এ নীতির আলোকে ১ কোটি ৬৮ লাখ পরিবারকে চাল, শিশু খাদ্য ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।

ফরচুন সাময়িকীতে প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি লিখেন, তৈরি পোশাক খাতের মতো রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় কর্মীদেরও সহায়তা হিসাবে কয়েকশ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। গত বছর দুই মাসের জন্য এবং পরবর্তী ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক ঋণের সকল সুদকে প্রায় মওকুফ করে দেয়া হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।

SHARE

About bnews24

Check Also

২১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ যাবেন

১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ যাবেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *