Monday , December 23 2024
Breaking News

রাশিয়ার গ্যাস লাইন বন্ধের হুমকি বাইডেনের

ইউক্রেনে যদি রাশিয়া হামলা করে, তা হলে রাশিয়ার প্রধান দুটি গ্যাস পাইপলাইন বন্ধের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে ওয়াশিংটনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন এ কথা বলেন। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। যে কোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।

ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা বরাবরই বলে আসছে, পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা হলে তারা রাশিয়ার অর্থনীতিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের রুশবিরোধী কঠোর অবস্থান আরও স্পষ্ট হলো। কারণ রাশিয়ার জন্য এই গ্যাস পাইপলাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অবশ্য জার্মান চ্যান্সেলর যখন ওয়াশিংটন সফর করছেন, তখন ইউরোপে সম্ভাব্য কোনো যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে মস্কো সফর করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জো বাইডেন বলেন, ‘রাশিয়া যদি হামলা করে, তা হলে সেখানে নর্ড স্ট্রিম ২ থাকবে না। আমরা সেটি বন্ধ করে দেব।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এই গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প কীভাবে বন্ধ করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি জো বাইডেন। তবে প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি যে আমরা সেটি করতে পারব।’

এর আগে গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে নর্ড স্ট্রিম ২ নামে পরিচিত এই গ্যাস পাইপলাইন বন্ধের বিষয়ে প্রথম হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেই সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করেই বলে দিতে চাই, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে, তা হলে নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প আর সামনে এগোবে না।’

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এই গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প কীভাবে বন্ধ করবে এবং এটি বন্ধ বা বাতিল করার ক্ষমতা ওয়াশিংটনের আছে কিনা, সে বিষয়ে সেই সময়ও বিশদ কোনো ব্যাখ্যায় যাননি নেড প্রাইস। তবে তিনি এটিই বলেছেন, ‘ইউক্রেনে হামলা হলে এই প্রকল্প যেন সামনে না এগোয়, তা নিশ্চিত করতে জার্মানির সঙ্গে কাজ করব আমরা।’

SHARE

About bnews24

Check Also

সাপ্তাহিক ছুটি হতে যাচ্ছে ৩ দিন জাপানে

জাপানে সরকারি চাকরিজীবীদের সাপ্তাহিক ছুটি তিন দিন হতে যাচ্ছে। কর্মীদের জন্য চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *