সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়ার ৪৩ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং চেক প্রজাতন্ত্র। তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত এই চার দেশ।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, বেলজিয়াম ২১ রুশ নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। তারা ব্রাসেলসে মস্কো দূতাবাস এবং অ্যান্টওয়ার্পের কনস্যুলেটে কর্মরত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযোগ— রাশিয়ার ওই ২১ নাগরিকের সবাই কূটনীতিক হিসেবে স্বীকৃত থাকলেও তারা মূলত গুপ্তচরবৃত্তি এবং প্রভাব বিস্তারের কাজে নিযুক্ত ছিল।
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা কূটনৈতিক স্বীকৃতি থাকা ১৭ জন ‘কথিত রাশিয়ান গোয়েন্দা এজেন্টকে’ অপসারণ করছে, যারা গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করত। মস্কোর যে কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার কথাও জানিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
এদিকে, রাশিয়ান দূতাবাসে কর্মরত চার সিনিয়র কর্মকর্তার ক্রিয়াকলাপ ‘কূটনৈতিক আচরণের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করেনি’ বলে অভিযোগ করে তাদের বহিষ্কার করেছে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র দপ্তর। তা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিকচ্যানেলগুলো উন্মুক্ত রাখা উচিত বলে মনে করে ডাবলিন।
সবশেষ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) একই পদক্ষেপ অনুসরণ করেছে চেক প্রজাতন্ত্রও। এদিন প্রাগে রাশিয়ান দূতাবাসের কূটনৈতিক স্টাফের একজন সদস্যকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক টুইট বার্তায় দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়, প্রাগের ওই রুশ কর্মকর্তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অফিস ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং ‘ইইউতে রাশিয়ান গোয়েন্দাদের উপস্থিতি’ কমানোর জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, একই ধরনের অভিযোগে গত বুধবার (২৩ মার্চ) ৪৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে পোল্যান্ড। চলতি মাসের শুরুতে সমন্বিত এক পদক্ষেপে ১০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া।