বুধবার থেকে বৃহত্তম পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় কাবা তওয়াফের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদির নাগরিক।
মহামারির কারণে দুই বছর সীমিত সংখ্যক লোকের হজ পালনের মাধ্যমে বৃহত্তম হজ অনুষ্ঠানের বিরতির পর এবার ১০ লাখ লোক হজ পালনের সুযোগ পেলেন।
মক্কায় মসজিদুল হারাম চত্বরে স্বর্ণালী হরফ খচিত কালো কাপড়ে আবৃত পবিত্র কাবাগৃহের ‘তওয়াফ’ এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে হজের প্রথম আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গোটা বিশ্বের মুসলমানরা এই পবিত্র কাবার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সাদা এহরামের পোশাক পরিহিত নারী-পুরুষ কাবা চত্বরে পাশাপাশি হেঁটে কাবা শরিফ তওয়াফ করেছেন।
২০২০ এবং ২০২১ সালের চেয়ে এবার হজের সমাবেশ অনেক বড়। তবে করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক হজের চেয়ে ছোট।
২০১৯ সালে হজে প্রায় ২৫ লাখ লোকের সমাবেশ হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা এই বার্ষিক হজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ইসলামের অবশ্য পালনীয় পাঁচটি স্তম্ভের একটি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নাটকীয়ভাবে হজ যাত্রীদের সংখ্যা হ্রাস করতে বাধ্য হয় সৌদি সরকার। ২০২১ সালে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন নেয়া মাত্র ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক এবং সৌদিতে বসবাসকারী লোকদের হজ পালনের সুযোগ দেয়া হয়। যা ২০২০ সালের চেয়ে কয়েক হাজার বেশি।
পবিত্র মক্কা নগরী এবং আশপাশের এলাকায় পাঁচদিনের বেশি সময়ে নিয়ম অনুযায়ী হজ পালন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
আরাফাত ময়দানে সমবেত হওয়ার মূল অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার হাজিরা মসজিদুল হারাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিনায় যাবেন। আরাফাত ময়দান, যেখানে সমবেত অনুসারীদের সামনে হযরত মোহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
মসজিদুল হারামের ভেতরে চিকিৎসা সেবাদানকারীরা সার্বক্ষণিক হাজিদের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।