বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
নতুন জনশুমারি অনুযায়ী দেশে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন। নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। জনশুমারি অনুযায়ী দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।
প্রতি ১০ বছর পর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবং প্রথম প্রকল্প পরিচালকের অবসরে যাওয়ার ২০২১ সালের জনশুমারি পিছিয়ে যায়। বর্তমান পিডি দিলদার হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর জনশুমারি কার্যক্রমের কাজ হাতে নেন।
দায়িত্ব দেওয়ার পর বিবিএস কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ডিজিটাল শুমারির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের নিদর্শন স্থাপন করেছেন।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষের দুই মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে মোট জনসংখ্যার প্রতিবেদন প্রকাশ করলো বিবিএস।
প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।
২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ। যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ছিল ১.৫৮ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ছিল ২.০১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ছিল ২.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে।
গত ১৫ মে থেকে দেশব্যাপী তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সারা দেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করেন।