স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন বলে জানা গেছে। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসারত।
শনিবার (২৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার পিত্তনালীতে স্টেনোসিস চিকিৎসার জন্য ইআরসিপি করার পর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। যার ফলে তাকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তার কিডনি জটিলতা রয়েছে, সেটা দূর করতে তাকে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। তবে আশার কথা, তিনি গত দুদিন ধরে কিছুটা ভালো আছেন।
সিঙ্গাপুরে নেওয়ার আগে মীরজাদী সেব্রিনা ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে সেখানকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ২০ আগস্ট রাতে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপরই তার শারীরীক অবস্থা খারাপ হলে তাকে আইসিইউতে স্থানাস্তর করা হয়। তিনি লাইফ সাপোর্টে থাকার খবরটি গত ২১ আগস্ট দেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এমনকি, দুদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়ে পড়ে।
এ গুজব প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেব্রিনা ফ্লোরার স্বামী এবং পরিবারের সদস্যদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তার অসুস্থতার বিষয়ে গুজব বা বানোয়াট খবর না ছড়ানোর জন্য তাদের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
সেব্রিনা ফ্লোরার পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে জানানো হয়, গুরুতর প্যানক্রিয়াটাইটিসের ফলে তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ডায়ালাইসিস চলছে ও কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ডায়ালাইসিস চলবে। তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন, কারণ তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে তার ফুসফুস আগের তুলনায় অনেকটা ভালো থাকলেও তাকে ভেন্টিলেটর থেকে ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
পরিবার থেকে আরও জানানো হয়েছে, তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। কারণ প্যানক্রিয়াটাইটিস থেকে সেরে উঠতে সময় লাগে। দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থণা করা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।