Monday , December 23 2024
Breaking News

তাইওয়ানের আকাশে চীনা বিমানের মহড়া দ্বিগুণ

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশ’ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে সদ্যঃসমাপ্ত বছরে। এর মাধ্যমে বেইজিং স্বশাসিত দ্বীপটির গণতন্ত্র আরো হুমকিতে ফেলছে বলে মত অনেক বিশ্লেষকের। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে বিদ্রোহী প্রদেশ মনে করে চীন।

ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শাসকরা অতীতে তাইওয়ানকে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপনতৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের আমলের প্রথম দিকে দুই অঞ্চলের মধ্যে খুব বেশি উত্তেজনা দেখা যায়নি। তবে ২০২২ সালে সম্পর্কে গভীর অবনতি ঘটে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফর ঘিরে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশ আকাশসীমা ছাড়াও ‘বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চল’ বজায় রাখে। এটি প্রচলিত আকাশসীমার চেয়েও আরো বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে হয়। সংশ্লিষ্ট দেশের প্রত্যাশা থাকে, তাদের এই সীমায় কোনো বিমান প্রবেশ করলে তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

তাইপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দৈনিক প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এএফপি জানিয়েছে, ২০২২ সালে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে এক হাজার ৭২৭টি বিমান পাঠিয়েছে চীন। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৬০। আর ২০২০ সালে বিমান অনুপ্রবেশ করে ৩৮০টি।

আবার ২০২১ সালে ৫৩৮টি যুদ্ধবিমান ঢুকলেও ২০২২ সালে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৪১টি। আর পারমাণবিক সক্ষম এইচ৬সহ বোমারু বিমানের অনুপ্রবেশ ৬০ থেকে হয়েছে ১০১টি।

২০২২ সালেই প্রথমবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা ড্রোন প্রবেশ করে। ৭১টি ড্রোনের সব কটি ওড়ানো হয় পেলোসির সফরের পর।

গত ২৫ ডিসেম্বর আক্রমণের প্রশিক্ষণ হিসেবে তাইওয়ানে ৭১টি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন। এটিকে ওয়াশিংটন ও তাইপের ‘উসকানির’ জবাব হিসেবে বর্ণনা করেছে বেইজিং।

তাইওয়ানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত সামরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক দিন পর এই মহড়া চলে। আগস্টে মহড়া দিয়েছিল ৪৪০টি যুদ্ধবিমান। ওই মাসেই তত্কালীন মার্কিন স্পিকার পেলোসি তাইপে সফর করেন।

তাইপেভিত্তিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক জে মাইকেল কোল বলেন, ‘এত ঘন ঘন চীনা যুদ্ধবিমানের মহড়া উদ্বেগজনক। চীনের সামরিক বাহিনী যাতে কোনো ছুতা তৈরি করে হামলা চালাতে না পারে সে জন্য তাইওয়ানকে সতর্ক থাকতে হবে। ’

বিশ্লেষকরা বলছেন, মহড়ার মাধ্যমে তাইওয়ানকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে চীন। এভাবে তারা তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ধারণা নিচ্ছে। হামলা চালালে কী রকম বাধার মুখোমুখি হতে পারে তা অনুমান করার চেষ্টা করছে। কারণ আগ্রাসন হবে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। পার্বত্য দ্বীপটি জয় করা যেকোনো সামরিক বাহিনীর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে।

চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সময় গৃহযুদ্ধের এক পর্যায়ে জাতীয়তাবাদীরা মূল ভূখণ্ডের বাইরে তাইওয়ান দ্বীপে এসে অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে তাঁরা সেখানে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তবে কখনো স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি দ্বীপটি। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।

SHARE

About bnews24

Check Also

সাপ্তাহিক ছুটি হতে যাচ্ছে ৩ দিন জাপানে

জাপানে সরকারি চাকরিজীবীদের সাপ্তাহিক ছুটি তিন দিন হতে যাচ্ছে। কর্মীদের জন্য চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *