ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইরানের পক্ষ থেকে পাঠানো সাহায্যের তৃতীয় চালান দেশটিতে পৌঁছেছে। ইরানের ত্রাণবাহী বিমানটি তুরস্কের দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপে অবতরণ করেছে। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে এসব ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহা-পরিচালক আশকান মুসাভি এ খবর জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। মূলত, তিনি গাজিয়ানতেপ শহরে ইরানি ত্রাণবাহী বিমান অবতরণ করার ছবি টুইটার একাউন্টে পোস্ট করেছেন।
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অন্যতম পরিচালক পির-হোসেইন কুলিবান্দও তৃতীয় ত্রাণবহরের সঙ্গে তুরস্কে গেছেন এসব ত্রাণ ঠিকমতো বিতরণ হয় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে। গাজিয়ানতেপে ইরানি ত্রাণবাহী বিমান অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কুলিবান্দকে স্বাগত জানান তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক কারাম কিনিক। তিনি কুলিবান্দকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “আমরা যেকোনো সমস্যা ও বিপদে ইরানকে সব সময় পাশে পেয়েছি।” কিনিক বলেন, গত সোমবার ভূমিকম্পের পরপরই যেসব দেশ থেকে সর্বপ্রথম সাহায্য এসে পৌঁছেছে সেসব দেশের প্রথমে ছিল ইরান। তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক বলেন, “এমন সাহায্যের জন্য আমরা তুরস্কের জনগণের পক্ষ থেকে ইরানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে এমন ভ্রাতৃপ্রতীম দেশকে পাশে পেয়ে আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
এর আগে তুরস্কের জন্য ত্রাণবাহী বিমান নিয়ে উড্ডয়নের আগে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক কুলিবান্দ বলেছিলেন, সাহায্যের তৃতীয় বহরে ৫৫ টনের বেশি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গত সপ্তাহের ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তুরস্কের নাগরিকই রয়েছেন ৩৫ হাজার।