আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের এত নেতার দরকার নেই। নেতার চেয়ে কর্মী বেশি। নেতায় নেতায় স্টেজ ভাঙে, আমি আহত হই।
রাজধানীর অদূরে ঘাটারচরে (কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ যেন আওয়ামী লীগের শত্রু না হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের সভায় অবস্থানরত কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এখানে হরেক রঙের গেঞ্জি (স্থানীয় নেতাদের ছবিসহ) দেখতে পাচ্ছি। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন, তাকেই সবাই মানবেন।
তারেক জিয়ার দেশে ফেরত আসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেউ লাল কার্ড দেখায়, কেউ হলুদ কার্ড দেখায়, কেউ বলে ১১ তারিখ থেকে দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়। কেউ বলে ১১ তারিখ দেশে আসবেন হাওয়া ভবনের যুবরাজ (বর্তমানে টেমস নদীর তীরে পলাতক)। যে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেছে, সে নাকি ফিরে আসবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হারানো ক্ষমতা এই দেশে ফিরে পাওয়া মুশকিল। ক্ষমতার মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনাকে হটাবেন? মনে রাখবেন, পঁচাত্তর আর ২০২৩ সাল এক নয়।’
ফখরুলের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘মনে রাখবেন ২০২৩ আর ২০০১ এক নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অস্বাভাবিক সরকার। এই সরকার শপথ নেওয়ার পর পর কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে ১৩ জন সচিবকে বরখাস্ত করে। এই সরকার বাংলার মানুষ চায় না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।