আগের ম্যাচেই নিজেদের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ দাঁড় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে আগের সেই রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে নামেন লিটন দাস।
ম্যাচের শুরুতে টাইগারদের চেপে ধরে আইরিশ পেসাররা। প্রথম সাত ওভারে মাত্র ১৮ রান যোগ করতে পারেন তামিম ও লিটন। অষ্টম ওভারে গ্রাহাম হিউমের উপর চড়াও হয়ে যাপ কমান লিটন। একটি করে চার ও ছয়ের মারে সেই ওভারে আসে ১২ রান।
প্রথম পাওয়ার প্লে মোটামুটি নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দিচ্ছিলেন দুই টাইগার ওপেনার। তবে শেষ বলে বাধে বিপত্তি। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ২৩ রান করা তামিম। তার বিদায়ের পর খোলস ছেড়ে বের হন লিটন, শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ।
সেই ধারাবাহিকতায় ৫৪ বলে ম্যাথু হামফ্রেসকে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন। একইসঙ্গে স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে ২০০০ রানের মাইলফলক। বড় কিছুর স্বপ্ন দেখালেও ৭০ রানে আউট হন তিনি।
অন্যপ্রান্তে শান্তও পান ফিফটির দেখা। সাজঘরে ফেরার আগে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেন তিনি, করেন ৭৩ রান। তবে এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ১৭ রান করেন এ অলরাউন্ডার।
এরপর দলকে এগিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ১২৮ রানের জুটিতে ঝড়ের গতিতে সচল থাকে স্কোরবোর্ডের চাকা। ফিফটির পথে থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৪৯ রানে হৃদয় ফিরলে ভাঙে এ জুটি।
সবাইকে ছাপিয়ে আইরিশ বোলারদের সবচেয়ে বেশি নাস্তানাবুদ করেছন মুশফিকুর রহিম। মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। ফিফটির পরই কার্টিস ক্যাম্ফারকে মিড উইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করার মাধ্যমে ওয়ানডেতে ৭০০০ রান পূরণ করেন এ ব্যাটার।
ফিফটি করেই থামেননি মুশফিক। একেরপর এক বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলতে থাকেন তিনি। ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ৬০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি। যা বাংলাদেশিদের মাঝে দ্রুততম।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে গ্রাহাম হিউম তিনটি এবং মার্ক আদাইর ও কার্টিস ক্যাম্ফার একটি করে উইকেট শিকার করেন।