সরকারি কর্মচারীদের ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগেই অনুমতি নেওয়ার বিধান কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪১(১) ধারা সংবিধান পরিপন্থী হিসেবে কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল জারি করেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকটে সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলামের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন ও আইন সচিব এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইন সংশোধন করা হয়েছিল। পরে এই আইন চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হলে হাইকোর্ট আইনটি বাতিল করে দেন। অথচ আলাদা আইন করে সরকারি কর্মচারীদের একই সুবিধা দিয়েছে যা আদালতের রায়ের পরিপন্থী।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ বিষয়ে গতবছর ১৪ নভেম্বর গেজেট জারি করা হয়। চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর পৃথক এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত পহেলা অক্টোবর থেকে ওই আইন কার্যকর করা হয়। এই আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।