মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২-এর সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সংশোধনীর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেই কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বেসরকারি ফল প্রকাশের পরও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এই প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে ধরেন।
গত ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরপিও সংশোধনীর এ প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে আইন মন্ত্রণালয়। ওই প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল, কোনো ভোটকেন্দ্রে, এমনকি পুরো নির্বাচনী এলাকার (আসন) ভোটে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোটের প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে গেজেট প্রকাশ স্থগিত এবং ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাব পুনর্গঠন করা সাপেক্ষে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। নতুন এই সংশোধনীর ফলে এখন আসনের পরিবর্তে কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার ক্ষমতা পাবে । মন্ত্রিসভার ওইদিনের বৈঠকে এ প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন করা হয়। প্রয়োজনীয় অধিকতর সংশোধনীর জন্য কিছু সুপারিশ করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরবর্তীতে আবারও উপস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মন্ত্রিসভার নির্দেশনার আলোকে আজ বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব চুড়ান্ত অনুমোদেনর জন্য উপস্থান করলে তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া আজকের বৈঠকে ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।