ইকুয়েডরের বন্দর নগরী গুয়াকুইলে প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্বৃত্তদের বন্দুকযুদ্ধে ছয়জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় দেশটির কর্মকর্তারা। ক্রমবর্ধমান মাদক সহিংসতার কারণে ওই অঞ্চলে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ কর্নেল মার্সেলো কাস্তিলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এই মাসে গুয়াকিলের দ্বিতীয় গোলাগুলিতে ছয়জন মারা গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্বৃত্তদের মধ্যে পূর্বের রেশারেশির জের ধরে এ সহিংসতা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
পরে প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানায়, আরও আটজনকে আহতকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ সহিংস ঘটনার জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের মাদকের বাজারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় ইকুয়েডরে, বিশেষ করে গুয়াকিলে এই ধরনের হামলার প্রবণতা বেড়েই চলেছে।
কাস্তিলো বলেন, ‘সোমবার ভোরে একটি কালো গাড়িতে করে জনবহুল এলাকায় পৌঁছে হামলাকারীরা। চার-পাঁচজন গাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় থাকা কয়েকজনের ওপর গুলি চালায়।’
পুলিশ কর্নেল বলেন, ‘পূর্বের সহিংসতার জেরে প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়। তারা নৃশংসভাবে পরস্পরকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে একজনের অপরাধ জগতের বলে রেকর্ড রয়েছে। আহতদের একজন মাদক পাচারে জড়িত বলে পরিচিত।’
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৩২টি কার্তুজ পাওয়া গেছে বলেও জানান কাস্তিলো।
ইকুয়েডরের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত গুয়াকিল হলো দেশটির বৃহত্তম নগর, বৃহত্তম বন্দর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ক্রমবর্ধমান তুমুল ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।