বাগমারা ( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারায় আঃলীগ নেতার মদদে বি এনপি,র কর্মীর মিথ্যা চাঁদাবাজীর অভিযোগে ঝিকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেন (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে চাঁদাবাজি মামলায়, আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন। ওই ঘটনার পর থেকে ঝিকরা ইউনিয়ন আঃলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খোজঁ নিয়ে জানা যায় উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আঃলীগের সাবেক সভাপতি রনশীবাড়ি গ্রামের আলহাজ্ব সাহার আলী এর ছেলে শফিকুল ইসলাম সহ-চার ভাইয়ের নিকট থেকে ঝিকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেন, তাদের ভোগদখলী সম্পতি পুকুর তিন বছরের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরটি নিয়ে একই এলাকার গত সংসদ নির্বাচনে বি এনপি,র এজেন্ট মেছের আলীর সাথে শফিকুল ইসলামের দন্ড চলে আসছে। মেছের আলীর পুকুর তার দাবি করলেও কাগজপত্রে শফিকুল ইসলামের নামে রয়েছে। শফিকুল ইসলামের বাবা আলহাজ্ব সাহার আলী উক্ত পুকুরটি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে তার চার ছেলের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। ছেলেরা জমি নেয়ার পর তা খারিজ করেন, যার খারিজ কেচ নং ৪৯১। কাগজপত্র মূল্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেন পুকুরটি তিন বছরের জন্য লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। নিজের কাগজপত্র গোপন রেখে মেছের আলী স্থানীয় আঃলীগ নেতার ইন্দনে মাছ চাষী মোসারফ হোসেনের নামে থানায় একটি চাদাঁবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেই রাতেই বাগমারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেন কে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় চাদাঁবাজির মামলা দায়ের করেন পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যুবলীগ সভাপতিকে আদালতে পাঠিয়েছেন বাগমারা থানা পুলিশ। যুবলীগ নেতা মোসারফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আঃলীগ নেতাকর্মীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি আফতাব উর্দ্দিন আবুল বলেন,বিএনপি এর কর্মীর অভিযোগে পুলিশ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করে অন্যায় ভাবে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। তিনি ঘটনাটি উদঘাটনের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। অপর দিকে একই দাবি জানিয়েছেন ঝিকরা ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও বাগমারা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ জলিল মাষ্টার। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন মোসারফ হোসেন তার এলাকার মেছের আলীর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন। মেছের আলী মোসারফ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদা বাজীর মামলা করেন। ওই মামলায় মোসারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Check Also
বাগমারায় জামায়াতের উদোগে শান্তি মিছিল ও শহীদের স্মরনে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্টিত
বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনতার তোপের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ …