যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার আভাসে শিগগিরই সুদের হার বাড়ানো বন্ধ করতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এরই প্রেক্ষিতে আপাতত স্বর্ণে বিনিয়োগ কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বিশ্ববাজারে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম কমেছে।
বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (১৭ জুলাই) স্পট মার্কেটে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে ১৯৫৪ ডলার ১৩ সেন্টে।
একই কার্যদিবসে ফিউচার মার্কেটে ইউএস বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৫৮ ডলার ১০ সেন্টে।
এরই মধ্যে মার্কিন মুদ্রা ডলারের ব্যাপক অবমূল্যায়ন ঘটেছে। গত ১ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে তা সর্বনিম্নে নেমে গেছে। তাতে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে স্বর্ণ কেনা কম ব্যয়বহুল হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, দেশটিতে মূল্যস্ফীতি প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বিদায়ী জুনে সেখানে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) কম বেড়েছে। বিগত ২ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে কম।
চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখ বৈঠকে বসবেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছেন, এবার সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন তারা। এরপরই তাতে ইতি টানবেন।
এক্সিনিটি প্রধান বাজার বিশ্লেষক হ্যান ত্যান বলেন, জুলাইয়ে সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড। এরপর চলতি বছর আর তা বাড়াবে না তারা। ফলে আবার স্বর্ণের দাম ২০০০ ডলারের ওপরে উঠার আশঙ্কা রয়েছে।