আগামী সপ্তাহে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু হবে। উত্তর কোরিয়ার মতে, এটা আসলে যুদ্ধের মহড়া ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করার আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দুইটি বার্তা দিয়েছেন। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে হবে।
সরকারি সংবাদসংস্থা কেএনসিএ জানিয়েছে, এই মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎপাদন দ্রুত বাড়াবার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। কারণ, তিনি উত্তর কোরিয়াকে প্রবল পরাক্রান্ত সামরিক শক্তিধর দেশে পরিণত করতে চান। সেই সঙ্গে তিনি যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন।
গত সপ্তাহান্তে কিম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা, মিসাইল লঞ্চ প্ল্যাটফর্ম, সাঁজোয়া গাড়ি ও কামানের গোলা তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন।
কিম বলেছেন, ‘একটা দেশ যুদ্ধের জন্য কতটা প্রস্তুত, তা নির্ভর করে সেই দেশের কারখানায় যুদ্ধাস্ত্র তৈরির গতির উপর।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে কিম যুদ্ধাস্ত্র বাড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি পরমাণু অস্ত্রের সম্ভারও তৈরি করতে চান।
উত্তর কোরিয়া একশরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তার অনেকগুলিই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ড্রিলের প্রতিক্রিয়ায়।
আমেরিকা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, শোল্ডার ফায়ারড রকেট সরবরাহ করেছে। উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতারা গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন। উত্তর কোরিয়া নিয়েই এই বৈঠক হয়েছে।