রেজাউল করিম বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-৫৫ বাগমারা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, সকল প্রতিকুল পেরিয়ে আজ মহা ক্ষণে কুতি শিক্ষাথীরা। যারা শত বাধা ভেঙ্গে অর্জন করেছে শিক্ষা জীবনে মহা কৃতিত্ব। সেই কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ তাদেরকে দেয়া হচ্ছে সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এইচ এসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫৭ জন কৃতি শিক্ষাথীদের সংবর্ধনা। শিক্ষাথীদের এটা শুধু লোক দেখানো সাটিফিকেট অর্জন নয়। সার্টিফিকেটের বাস্ত রুপ দিতে হবে। লেখাপড়া শেষ করে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে আন্তনিয়োগ করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি মা-বাবার প্রতি খেয়াল রাখা প্রতিটি সন্তানের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন ২০০৯ সাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সকল শিক্ষাথীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ কর্মে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। উজ্জল হয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ। শিক্ষাথীদের মেধার প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই সংবর্ধনার মধ্যে দিয়ে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেয়া হলো কৃতি শিক্ষাথীদের সংবর্ধনা। এক যুগের বেশি সময় ধরে সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। শনিবার এইচ এসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষাথীদের সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে উপজেলার সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়নে এক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড, মোহাঃ মোকবুল হোসেন বলেছেন আলো ছাড়া আলো জ্বালানো যায় না সেই আলো হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। তিনি এক যুগের বেশি সময় ধরে ভবিষ্যৎতের কর্ণধার শত শত মেধাবী শিক্ষাথীকে সংবর্ধনা প্রদান করে আসছেন। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের মতো সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে
তাহলে দ্রত উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তিতিত হবে বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন বাগমারা যেন প্রকৃত বাংলা। এই জনপদের সৌন্দর্য অপরুপ। বাগমারায় এসে আমার অন্তর জুড়িয়ে গেছে। নেতা তিনিই যিনি দেশ ও দশের কল্যাণে আত্ননিয়োগ নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের হাতেই পরির্বতন হয়েছে বাগমারা। মহৎ মানুষের চিন্তা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা। যেমনটি চেয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোন জাতিকে বাঁচাতে হলে সর্বপ্রথম গ্রামের লোকজনকে বাঁচাতে হবে। গ্রাম হচ্ছে উন্নয়নের প্রাণ। সেটা নিয়ে ভাবেন এবং গ্রামের মানুষের মূল্যায়ন করেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। শেষে কৃতি শিক্ষাথীদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। সেই সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস তহুরা হক। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের সাবেক পরিচালক প্রফেসর আবুল হাসান, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমারা সরকার ,বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, সংসদের ছেলে মুফতাসিম হক তাশদীদ, মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ তরফদার কৃতি শিক্ষাথী মাহফুজা খাতুন। এ সময় আরো উপস্তিত ছিলেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মাহমুদ হাসান, জেলা আ,লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাস রানা, উপজেলা আ,লীগের সহ-সভাপতি মতিউর টুকু, আফতাব উর্দ্দিন আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উর্দ্দিন সুরুজ,সহ-দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সহ- বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক, আ,লীগ ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ্র। অনুষ্টানে মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ,বাগমারা ডিগ্রী কলেজ ,বালানগর কামিল মাদ্রাসা হাট-গাঙ্গোপাড়া বি এম কারিগরি কলেজ,কাতিলা সবুজ সংঘ আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ,বেলঘরিয়া হাট ফাযিল মাদ্রাসা,ভবানীগঞ্জ কারিগরি ব্যবস্থাপনা কলেজ,ফলাফলের সেরা প্রতিষ্টান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশনের পক্ষ নগদ অর্থ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
Check Also
বাগমারায় জামায়াতের উদোগে শান্তি মিছিল ও শহীদের স্মরনে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্টিত
বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনতার তোপের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ …