গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট উত্তেজনার মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। রোববার (৫ নভেম্বর) ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের আওতাধীন অঞ্চলে একটি ওহাইও-ক্লাস সাবমেরিন এসে পৌঁছেছে। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের অস্থান মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও এর আশপাশের ২১ দেশের সীমানায় বিস্তৃত।
প্রায় ১৯ হাজার টন ওজনের ওহিও-ক্লাস সাবমেরিন গুলো মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত সবচেয়ে বড় সাবমেরিন এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সাবমেরিন। পারমাণবিক শক্তিতে চালিত এই সাবমেরিন ১৪টি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল বহণ করে এবং এর রয়েছে চারটি টর্পেডো টিউব যা দিয়ে ক্রুজ মিসাইলও ছোড়া যায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে তেল আবিবের প্রধান মিত্র হিসেবে বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক তৎপরতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পরপরই মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধজাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েল উপকূলে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ঠেকাতে এবং ইসরায়েল বিরোধী যেকোনো পদক্ষেপ নিবৃত করতে যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধজাহাজগুলোকে মোতায়েন করেছে।
গত ৭ অক্টোবর অতর্কিত হামলার মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ শুরু করে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। এরপর সর্বাত্মক যুদ্ধে নামে ইসরায়েল। হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। এছাড়া পাঠিয়েছে অস্ত্রশস্ত্র। প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতার।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষে এক হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ বা আহত হয়েছেন।