ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূলের যে পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করেছিল তা কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবশ্যই দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে হাঁটার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মাসিক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন বোরেল। এই সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও সৌদি আরব, মিসর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরব লীগের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বৈঠকে আলাদা আলাদাভাবে উপস্থিতি ছিলেন।
এবারের ইইউ সম্মলেনে মূলত হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলার পরিণতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও সেখানে আলোচনা হবে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বোরেল সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের কাছে আর অন্য কী সমাধান আছে। তারা কি সব ফিলিস্তিনিকে বের করে দিতে চায়? তাদের সবাইকে হত্যা করতে চায়? তারা যেভাবে হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে তা হতে পারে না। এর মাধ্যমে তারা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের মধ্যে ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া তৈরি করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন ইইউ পররাষ্ট্রনীতি প্রধান। যদিও এক দশক আগে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে এই ধরনের প্রচেষ্টা ভেস্তে গিয়েছিল।