Monday , December 23 2024
Breaking News

ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে : জয়

ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জয় বলেন, প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সরকারের কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল।

বুধবার প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল। এমনকি এটি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল।

জয় বলেন, কোটা কমানোর জন্য আমাদের সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। তবে আদালত ভুল করেছে। আমরা সবাইকে কোটা চাই না বলে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের সেটা শোনেনি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।

ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে : জয়

জয় দাবি করেন, ছাত্রদের এ আন্দোলন সহিংস হওয়ার পেছেনে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল।

তিনি বলেন, একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এ আন্দোলনের পেছনে ছিল বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। কারণ অনেক আন্দোলনকারীর কাছে ১৫ জুলাই থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গত ১৫ বছর ধরে আমরা জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছি। ফলে বাংলাদেশে এখন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই করতে পারে।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের বিষয়ে জয় বলেন, একদিন আগেও তিনি বা তার মা কেউ ভাবেননি- পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। মায়ের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া জনগণের উদ্দেশে তিনি একটি ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিয়ে ঘোষণার কথা ভেবেছিলেন। এজন্য তিনি বিবৃতির খসড়া তৈরি করেছিলেন এবং সেটি রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, সবকিছু পরিকল্পিত ছিল। তবে তিনি যখন রেকর্ডিং শুরু করতে গেলেন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ‘সময় নেই’ বলেন জানিয়ে দেন। তারা বলেন, ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখন যেতে হবে।

জয় বলেন, শেখ হাসিনা দেশ না ছাড়ার জন্য অনড় ছিলেন। তিনি মাকে রাজি করিয়েছেন। এরপর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সামরিক বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তখনই আমার খালা (শেখ রেহানা) আমাকে ডাকলেন। আমি মাকে বোঝালাম, তোমার নিরাপত্তার জন্য তোমাকে চলে যেতে হবে। যদি এই জনতা তোমাকে খুঁজে পায়, কোথাও ধরে ফেলে এবং সেখানে গুলি চলে, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। হয় তোমাকে এ হত্যার জন্য দায়ী করবে কিংবা যদি তোমাকে ধরে ফেলে তাহলে মেরে ফেলবে। তাই সবচেয়ে ভালো হবে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এবং আমিই তাকে চলে যেতে রাজি করিয়েছি।

SHARE

About bnews24

Check Also

সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৩০

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *