ইনিংসের প্রথম তিন ৩ ওভারে ১৩ গড়ে ৩৯ রান করার পরও বিপাকে পরাজশাহী রয়্যালস। ওয়াহাব রিয়াজের এক ওভারেই হারালো ৩ উইকেট
ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ১৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের প্রথম ৩ ওভারে ১৩ গড়ে ৩৯ রান যোগ করেন রাজশাহীর এ দুই ওপেনার।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙ্গে চুরমার করে দেন ওয়াহাব রিয়াজ। নিজের প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়ে রাজশাহীর টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যান লিটন দাস, অলক কাপালি ও পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের উইকেট তুলে নেন ওয়াহাব রিয়াজ। শুন্য রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রাজশাহী।
ঢাকা প্লাটুন ১৭৪/৫
রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ঢাকা প্লাটুন। দলের এমন কঠিন পরিস্থিতে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান তামিম ইকবাল ও আসিফ আলী।
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল ও ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলতে আসা পাকিস্তান জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান আসিফ আলীর ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৪ ওভারে ৯৫/৫ রান করা ঢাকা, শেষ ৬ ওভারে সংগ্রহ করে ৭৯ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ বল খেলে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রানের জুটি গড়েন তামিম ও আসিফ। তাদের ব্যাটিং শৈলীতে ৫ উইকেটে ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয় ঢাকা প্লাটুন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ইনিংসটি ৫২ বলে তিন ছক্কা ও ৪টি চারে সাজানো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ রান করেন আসিফ আলী।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে যায় ঢাকা প্লাটুন। দলীয় ৩৫ রানে এনামুল হক বিজয় ও ঢাকার ইংলিশ ক্রিকেটার লুইস রিসের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় প্লাটুন।
দলকে খেলায় ফেরাতে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেটে মেহেদী হাসানকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে মাত্র ১১ বলে দুটি ছক্কা ও এক চারের সাহায্যে ২১ রান করতেই বিপদে পড়েন মেহেদী।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আরিফুল হক। জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া এ ব্যাটসম্যান এদিন ফরহাদ রেজার বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তার আগে ৮ বলে করেন মাত্র ৭ রান।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ফরহাদ রেজার করা ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আরিফুল এবং অধিনায়ক মাশরাফিকে পরপর দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন ফরহাদ রেজা। কিন্তু ঢাকা প্লাটুনের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আসিফ আলীর হ্যাটট্রিকের সেই সুযোগ দেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (তামিম ৬৮*, আসিফ আলী ৫৫*, মেহেদী ২১, এনামুল ১০; ফরহাদ ২/৪৪)।